তোলা শব্দটির শাব্দিক অর্থ হল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কোন কিছু তুলে রাখা। এটি আবার ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত ওজনের একক। এটি মূলত ব্রিটিশ আমলে প্রচলিত ছিল। বাজারভিত্তিক ব্রিটিশ ভারতের খাজনা আদায়ের পদ্ধতি ছিল তোলা বাটি। জমিদার, জোতদার, সামন্ততান্ত্রিক বুর্জোয়া শ্রেণীর সমাজ ব্যবস্থায় তোলা বাটি ছিল নিপীড়িত কৃষকের শোষণের হাতিয়ার।
১৯৪০ সালে এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লাহিড়ী হাটে জমিদারদের স্বেচ্ছাচার মূলক তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে সাম্যবাদী কৃষক আন্দোলনের নেতা শহিদ বিপ্লবী কমরেড কম্পরাম সিং। ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে এক অদম্য আন্দোলন গড়ে তোলেন। ইতিহাসে এটাই তোলাবাটি আন্দোলন নামে পরিচিত। তিনি তদানীন্তন বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল ও আটোয়ারী থানার কৃষকদেরকে সংগঠিত করে সংগঠিত করে এ অমানবিক খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে ব্রিটশ রাজেকে কাপিয়ে দেন । এ আন্দোলনকে নিষ্কিয় করার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে রাষ্ট্রদ্রোহীর তকমা পড়িয়ে গ্রেফতার করেন । ফলশ্রুতিতে এ বঙ্গীয় প্রাদেশিক প্রতিনিধি ৩ মাস কারাজীবন ভোগ করেন । এ তোলাবাটি আন্দোলনটি পরর্বতীতে আরো বৃহৎ পরিসরে সুগঠিত হয়ে তেভাগা আন্দোলনে রূপান্তিত হয় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস