Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভৌগলিক পরিচিতি

পাখির কুঞ্জনে যেখানে ভোর হয়, ঝিঁ ঝিঁ ডাক স্বাগত জানায় স্বর্ণালী সন্ধ্যাকে; নুয়ে পড়া নীলাকাশ আর সবুজ দিগন্তের মিতালী যেখানে নিবিড়, বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমের সেই জনপদটির নাম বালিয়াডাঙ্গী। উত্তর প্রান্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার অবিরাম হাতছানি আর জমিনের আঁচল হয়ে বয়ে চলা নাগর নদীর নিটোল স্রোত এই অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে এঁকেছে সরলতার উল্কি চিহ্ন। স্বভাবত:ই তাই এই অঞ্চলের মানুষেরা সহজ-সরল জীবন যাপনে অভ্যস্থ।

প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে সমৃদ্ধ করে এমন কোন উল্লেখযোগ্য উপাদান হয় তো এখানে নেই তবুও এই অঞ্চলের প্রকৃতিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্বকীয়তা। রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত শস্য ক্ষেত্র আর সবুজ বৃক্ষরাজি আচ্ছাদিত শান্ত গ্রাম। রয়েছে ফসলের সৌরভ আর ঘুঘুর ডাক। রয়েছে স্বচ্ছ জলরাশি সমৃদ্ধ অসংখ্য পুকুর, দিঘি। নীলাকাশের নিচে ফসলের দোলায়িত হরিৎক্ষেত্র দেখে মনে হয়- ‘‘ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা।’’ ফলবিথীর ব্যাপক সমারোহ আনাচে কানাচে। সারি সারি আম বাগানের মধ্যে সূর্যাপুরী বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বৈশাখ মাসে নদী সমূহের হাটু জলে পা ভেজালে রবী ঠাকুরের কথা একটি বারের জন্য হলেও স্মরণ হবে-

‘‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে

বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে।’’

সবকিছু মিলিয়ে শামত্ম প্রকৃতিতে বিরাজ করে এক ধরণের সিণগ্ধ শ্যামল রূপ-সৌন্দর্যের বিমূঢ় মৌনতা। বালিয়াডাঙ্গীর  উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও আটোয়ারী উপজেলা, দক্ষিণে রানীশংকৈল উপজেলা, পূর্বে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।  উপজেলা শহর ২টি মৌজা নিয়ে গঠিত। আয়তন ১৭.৭২ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ১২,০১৫; পুরুষ ৫১%, মহিলা ৪৮৫%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটার ৬৭৮ জন। শিক্ষার হার ৪৮.৩%।